নিষিদ্ধ এক পল্লীতে রূপ নিয়েছে; হাতিয়া পাইতান ঘাট

 

নিষিদ্ধ এক পল্লীতে রূপ নিয়েছে; হাতিয়া পাইতান ঘাট


প্রিন্ট নিউজ 
চরঈশ্বর,হাতিয়া,নোয়াখালী 
২৭ অক্টোবর ২০২৩ 
প্রকাশনা - সকাল

জাকের শাহীন 
হাতিয়া নিউ 

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ হাতিয়া। চারপাশে নদী সাগর দ্বারা বেষ্টিত ছোট্ট একটা ভূখন্ড। দ্বীপটির বেশিরভাগ ভাগ মানুষ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।এজন্য আমরা বাঙ্গালীরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী। হাতিয়ার বিভিন্ন ঘাটে জেলেরা মাছ ধরে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম একটি ঘাট পাইতান ঘাট এলাকা। হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নে পাইতান ঘাট অবস্থিত। ওছখালী মোড় থেকে পাইতান ঘাটে যেতে সময় লাগে ৩৫মিনিট। হোন্ডা অথবা অটো রিকশা জুটে সহজেই যাওয়া যায়। পাইতান ঘাটের দক্ষিণে কাজীর বাজার এবং উত্তরে রয়েছে বাংলা বাজার। ইলিশের জন্য বিখ্যাত এই পাইতান ঘাট।

২২ দিন ধরে সাগরে চলছে ইলিশের অভিযান। ইলিশ ধরা,কেনা বেচা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ইলিশ লোনা পানির মাছ হলেও, প্রজননের জন্য মিটা পানিতে এসে ডিম ছাড়ে। আর তখনই নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ে মা ইলিশ। এসময়ে ইলিশের পোনা জেলেদের জালে উঠে।এসময় মা ইলিশ ধরে পেললে মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবে।তাই ২২দিন ইলিশ মাছ ধরা,ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ।

এদিকে হাতিয়া উপজেলা থেকে জেলেদের জন্য বিভিন্ন দিন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।যারা আইন অমান্য করে মাছ ধরলে তাদের জাল জব্দ করে, জেল এবং জরিমানার বিধান করা হয়েছে। সরকার কর্তৃক অভিযানের মৌসুমে হতদরিদ্র জেলেদের জন্য জেলে কার্ডের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।যার ফলে অভিযানের মৌসুমে জেলেরা বাঁচার ঠাঁই পায়। 
হাতিয়া পাইতান ঘাটে অভিযানের সময় জেলেরা ছেড়া জাল বুনা, নৌকা মেরামত সহ বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত থাকতে দেখা গেছে। অনেক জেলে পাইতান ঘাট থেকে নিজের বাড়িতে ফিরে গেছে।অভিযান শেষ হলে আবার ফিরে আসবে মাছ ধরতে। অভিযাজানের এই সময়টা কিছু কিছু জেলেদের জন্য ঈদের মৌসুমের মতো। অন্যদিকে হাতিয়ার কোলাহল সম্পর্ণ পাইতান ঘাট,এখন নিস্তব্ধ হয়ে গেলো। নেই এখন ইলিশ বিক্রি করার প্রতিযোগিতা; নেই কোনো ক্রেতাগণ। অভিযানের মৌসুমে পাইতান ঘাটে কোথাও যেনো কেউ নেই। 


More+
Facebook | YouTube | Toffee 

All Rights The reserved by Hatia New 
©

No comments

Connected Us Everyone

Powered by Blogger.