নিঝুমদ্বীপ বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর দর্শনীয় স্থান

 বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যান - হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ


দর্শনীয় স্থান

১. কমলার দ্বীপ:সেখানের কমলার খালে অনেক ইলিশ মাছ পাওয়া যায়।এছাড়াও আশে পাশের দ্বীপগুলো সুন্দর।পুরো দ্বীপটা হেঁটে হেঁটে ঘুরে আসা যায়,মন ভরে যাবে।

২. চৌধুরী খাল ও কবিরাজের চর:যেতে হবে বিকেল এ সন্ধ্যার আগে,চৌধুরীর খাল নেমে ঘন্টা খানেক হাঁটলেই বনের মধ্যে হরিন এর পালের দেখা পেতে পারেন।একটা ট্রলার রিজার্ভ নিন ১০-১৫ জনের গ্রুপ এর জন্য ১০০০-১২০০ টাকা।ওরাই হরিন দেখিয়ে আনবে,সন্ধ্যার সময় কবিরাজের চর এ নেমে সূর্যাস্ত ও হাজার হাজার মহিষের পাল দেখতে ভুলবেন না।

৩. চোয়াখালি ও চোয়াখালি সী-বিচ:চোয়াখালি তে গেলে খুব সকালে হরিন দেখা যায়।মটর সাইকেল ওয়ালাকে বলে রাখুন খুব সকালে আপনাকে হোটেল থেকে নিয়ে হরিন দেখিয়ে আনবে।লাক ভালো হলে নামার বাজারের পাশেই খুব ভোরে হরিন দেখা যায়।

৪. ম্যানগ্রোভ বন: নিঝুম দ্বীপ বনায়ন প্রকল্প।আছে কেওড়া গাছ আর লতাগুল্ন।নিঝুম দ্বীপে ছোট ছোট পোলাপাইন রা গাইড এর কাজ করে,এদের সাথে নিয়ে সকাল বেলায় বনের ভেতর ঢুকে পড়ুন।হরিন দেখতে পারবেন।

৫. নামার বাজার সী-বিচ:নামার বাজার থেকে হেঁটে যেতে ১০ মিনিট লাগে।এখান থেকে সূর্য উদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন,এখানে বারবিকিউ করে মজা পাবেন।বিচ থেকে বামে কিছু দূর হেটে প্রসিদ্ধ খেজুর গাছের সারি দেখতে ভুলবেন না।

৬. দমার চর: বঙ্গোপসাগরের কোলে সম্প্রতি আরো একটি অনিন্দসুন্দর সমুদ্র সৈকত জেগে উঠেছে।সৈকতটি একেবারে আনকোরা, কুমারী।একে এখন ডাকা হচ্ছে 'ভার্জিন সি বিচ' বলে। নিঝুম দ্বীপের লোকজন এবং মাছ ধরতে যাওয়া লোকেরা এই নয়নাভিরাম সৈকতকে বলে ‘দেইলা’ বা বালুর স্তুপ।তাদেরকে আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি যে আসলে এটা একটা সমুদ্র সৈকত। যা কিনা কক্সবাজরের সমুদ্র সৈকতের চেয়েও অনেক বেশী সুন্দর এবং আকর্ষনীয়। যা এখনো অনেক ট্যুরিস্ট এর কাছেই আজান অচেনা।এখানে অনেক নাম না জানা পাখির দেখা পাবেন খুব সকালে যদি যান।ট্রলার ভাড়া ৩০০০-৩৫০০ টাকা।

আপনি যদি হাতে সময় নিয়ে যান তবে ট্রলার রিজার্ভ নিয়ে ভোলার ঢালচর,চর কুকরি - মুকরি থেকে ঘুড়ে আসতে পারেন।

নিঝুম দ্বীপে হরিণ দেখতে হলে ভ্রমণকালীন সময়ে কিছু বিষয়ের প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখা উচিত। বনে চলাচলের সময় একদম নিঃশব্দে চলতে হবে। কোনো প্রকার শব্দ অথবা উচ্চ গলায় কথা বলা যাবে না। কারণ বনের পশু পাখিদের যেকোনো শব্দ শোনার তীব্র ক্ষমতা রয়েছে। সামান্য হৈচৈ করলেই এখানে হরিণের দেখা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। জঙ্গলে ট্রেকিংয়ের সময় যথাসম্ভব সবাই হালকা রংয়ের সুতি পোশাক পরিধান করবেন। বন্য প্রাণীদের দৃষ্টিও খুব প্রখর হয়ে থাকে। অতি উজ্জ্বল পোশাকের পরিধানের কারণে দূর থেকেই বন্যপ্রাণীরা তাঁদের শিকার দেখে ফেলে। তবে নিঝুম দ্বীপে হরিণ এবং মহিষ ছাড়া অন্য কোনো হিংস্র প্রাণী নেই। তাই ভয় পাবার কোনো কারণ নেই।

All Rights Reserved 
The Hatia New ©

No comments

Connected Us Everyone

Powered by Blogger.